বহুদিন ধরে ইচ্ছা, গান বাজনা নিয়ে লিখব। সময় হয়ে ওঠে না। যদি বা সময় হয়, তো 'সচলায়তনে' গিয়ে বসে থাকি।
আজ ভেবেছি, কোমর বেঁধে লাগব।
আমি নিজেকে গানের ক্ষেত্রে 'সর্বভুক' ভাবতে পছন্দ করি। তবে কথাটা হয়ত পুরোপুরি সত্যি নয়। ইংরাজি গান খুব একটা শোনা হয়না। যাও বা হয়, সে সব নীচুগ্রামের গান। Hard Rock, Metal যারা নিয়মিত শোনেন তাদের জন্য আমার 'বিশেষ' রকমের শ্রদ্ধা রয়েছে।
যাই হোক, আজকের লেখায় ভাবছি আমাদের দেশের আধুনিক গান নিয়ে লিখব।
আমি যে সময়টায় বেড়ে উঠছিলাম, সে সময়টাতে ব্যান্ড সঙ্গীতের রমরমা অবস্থা। এই সময়টাতে আমাদের বয়সী সবাই মোটামুটি ২ ভাগে ভাগ হয়ে গেল----- যারা ব্যান্ডের গান পছন্দ করে আর যারা করেনা। আমি নিজে ছিলাম দ্বিতীয় দলে এবং আমার জানামতে আমার দলে আমি ছাড়া আর কোনো সদস্য ছিল না।
আমি বেশ চিন্তা ভাবনা করে আসলে ব্যান্ডের গান অপছন্দ করা শুরু করেছিলাম। এমন না যে ঐ গান গুলো আমার ভালো লাগত না। কিন্তু তখন আমার আবার সঙ্গীতের 'সুরসিক' হবার সাধ জেগেছে। আমার অপরিনীত মস্তিষ্ক আমাকে ধমকে বলল, কি এই সব ছাইপাশ গান! এ তো সুর নয়, এ তো 'অসুর'। এই রকম নানানবিধ যুক্তি।
বাসায় বোন গান গায়--- রবীন্দ্র সঙ্গীত। আমি তার সাথে তবলা বাজাই। শুধু তাই নয়, আমাদের বাসায় ওয়াহিদ কাকু (সদ্য প্রয়াত সর্ব্বজন শ্রদ্ধেয় ওয়াহিদুল হক), সানজীদা খালাম্মা মাঝে মাঝেই আসা যাওয়া শুরু করেছিলেন। কারন ছিল এই যে, তখন আমার শহরে মাত্র 'রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ' এর শাখা খোলা হয়েছে। বাবা ছিলেন (খুব সম্ভবত) এর সভাপতি।
যাই হোক, এদের সংস্পর্শে এসে আমি আরো 'গম্ভীর' হয়ে গেলাম। রাস্তা ঘাটে আমার বয়সোনুচিত গাম্ভীর্য নিয়ে আমি চলা শুরু করলাম। ব্যান্ডের গান শুনলে কারনে অকারনে 'শিউরে' উঠি। এই সব গান আমার কাছে 'অছ্যুৎ' সঙ্গীত হয়ে উঠেছিল। একই সাথে, যখন কেউ শুনছে না, তখন গুন গুন করতামঃ
" মাঝ রাতে চাঁদ যদি আলো না বিলায়......"
কিংবা
"দৃষ্টি প্রদীপ জ্বেলে, খুঁজেছি তোমায় ......"
(চলবে)
2 comments:
" মাঝ রাতে চাঁদ যদি আলো না বিলায়......"
কিংবা
"দৃষ্টি প্রদীপ জ্বেলে, খুঁজেছি তোমায় ......"
Post a Comment